ট্রাইসাইক্লাজল এর কার্যকারীতার ধরণ Mode of Action

ট্রাইসাইক্লাজল প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিরোধমূলক ছত্রাকনাশক, অর্থাৎ ফসলের সংক্রমণ রোধ করার জন্য রোগ শুরু হওয়ার আগে এটি প্রয়োগ করা হয়।  এটি ছত্রাকের বৃদ্ধি ও প্রজননকে বাধা দিয়ে রোগের প্রাথমিক সংক্রমণ ও বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।

ট্রাইসাইক্লাজল মূলত ধানের ব্লাষ্ট রোগের জন্য দায়ী ম্যাগনাপার্থি অরাইজি (পাইরিকুলাইরা অরাইজি) দমনে অত্যাধিক কার্যকর। এই ছত্রাকের কোষ প্রাচীরে মেলানিন রয়েছে যা ছত্রাককে অতি বেগুনী রশ্মি ও পরিবেশগত চাপ থেকে রক্ষা করে। ট্রাইসাইক্লাজলে রয়েছে ট্রাইসাইক্লাজল ডাইহাইড্রক্সিন্যাপথেলিন যা ছত্রাকের মেলানিন বায়োসিন্থেসিস ইনহিবিটর (DMI) নামক একটি এনজাইমের কার্যকলাপকে বাধা দেয়, যা ছত্রাকের কোষ প্রাচীরে মেলানিন উৎপাদনে জড়িত। এতে ছত্রাকের শরীরে মেলানিন উৎপাদন ব্যহত হয়।  মেলানিন ছাড়া, ছত্রাকের কোষ প্রাচীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পরিবেশগত চাপ ও অতি বেগুনী রশ্মির প্রভাবে ছত্রাকগুলো মারা যায়। সাধারণভাবে, ধানের ব্লাস্ট রোগ নিয়ন্ত্রণে সর্বোত্তম ফলাফল অর্জনের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে ট্রাইসাইক্লাজল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে অনুমোদিত ট্রাইসাইক্লাজল জাতীয় কিছু বালাইনাশকের নামঃ

ট্রুপার, দিফা, মেলা, জিল, স্টেন্জা, সানজল, আদর্শ।

ট্রাইসাইক্লাজল + ফেনোক্সানিল জাতীয়ঃ

বীর, সানজল প্লাস

ট্রাইসাইক্লাজল+প্রোপিকোনাজলঃ

ফিলিয়া, দিজল, লাইকা

পাইরাক্লোস্ট্রবিন+ট্রাইসাইক্লাজল

নোব্লাস্ট

  • বাংলাদেশে অনুমোদিত বালাইনাশক সম্পর্কে জানতে বালাইনাশক সহায়িকা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করুন

Scroll to Top